সারা বাংলায় দাদাকে চাই - শুভেন্দু অধিকারী ছবি সহ ব‍্যানারে ছয়লাপ গোটা এলাকা

28th November 2020 12:02 pm হুগলী
সারা বাংলায় দাদাকে চাই - শুভেন্দু অধিকারী ছবি সহ ব‍্যানারে ছয়লাপ গোটা এলাকা


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : সারা বাংলায় দাদাকে চাই - স্লোগান দিয়ে ব‍্যানারে ছয়লাপ হুগলীর তারকেশ্বর পৌর এলাকা । পৌরসভা প্রাঙ্গন সহ বিভিন্ন বাজার , এলাকা ছয়লাপ আমরা দাদার অনুগামী- দের প্রচার ব‍্যানারে । তারকেশ্বরের চাউলপট্টি , পদ্মপুকুর , জয়কৃষ্ণবাজার , মন্দিরপাড়া ,  বাসস্ট‍্যান্ড সহ আরো একাধিক এলাকাজুড়ে শুভেন্দু অধিকারীর ছবি সহ ব‍্যানার ঘিরে কৌতুহল । এই এলাকায় শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বহু দিনের । তার উপর দাদার অনুগামীদের প্রচার সব মিলিয়ে বিরোধী শিবিরে খুশির হাওয়া । সকাল থেকেই বাজারে আসা মানুষজন বা যারা রাস্তায় বেড়িয়েছেন হঠাৎ করেই চারিদিকে শুভেন্দু অধিকারীর ছবি সহ ব‍্যানার দেখে থমকে পড়ছেন । বাড়ছে কৌতুহল । কারা দাদার কারা দিদির তা খোঁজ পেতেই আলাপ আলোচনা , জটলা । বিধানসভা ভোটের দিন ঘোষনার আগেই শুভেন্দু অধিকারী ইস‍্যুতে সরগরম বঙ্গ রাজনীতি । জেলায় জেলায় কতটা প্রভাব পড়ে সেটা সময়ের অপেক্ষা । 





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।